কিন্তু তার চেষ্টা তো সেঞ্চুরি করেছে অনেক আগেই। এখন ডাবল সেঞ্চুরির পথে তিনি। গত দুই দশক ধরে তিনি এই প্রচেষ্টায় এক লাখ রুপি বা স্থানীয় মুদ্রায় ৬০০০ জেøাটি ব্যয় করেছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। সফলতা তাকে ধরা দিচ্ছেই না। তিনি পোল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলীয় শহর পিওত্রোকো ট্রাইবুনালস্কি’র বাসিন্দা। অনলাইন রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড এ খবর দিলেও তার নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি। ওই ব্যক্তি ১৯২তম বার ব্যর্থ হওয়ার পর এই পরীক্ষা দেয়ার ধারা যে অব্যাহত রাখবেন তা স্পষ্ট। টিভিপি’র মতে, ওই ব্যক্তি বার বার ফেল মারছেন থিওরি পরীক্ষায়। পোল্যান্ডে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে হয়, তার আগে এই থিওরি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। দেশটিতে থিওরি পরীক্ষায় পাস করতে হলে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ নম্বর পেতে হয়। আর প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় তা শতকরা ৪০ ভাগের নিচে। কিন্তু ওই থিওরি পরীক্ষায়ই গোলমাল পাকিয়ে বসছেন ভদ্রলোক। এ কারণে ড্রাইভিং পরীক্ষায় গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলে হাত রাখতে পারছেন না তিনি। টিভিপি দেয়া তথ্যমতে, সবচেয়ে খারাপ আরেকজন ব্যক্তি আছেন ওই শহরে। তিনি সেঞ্চুরি করতে না পারলেও এর কাছাকাছি অবস্থান করছেন। তিনি ফেল মেরেছেন ৪০বার। আবার দক্ষিণ পোল্যান্ডের ওপোলে শহরে একজন প্রার্থী ১১৩ বার পরীক্ষা দিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, পোল্যান্ডে একজন প্রার্থীর আবেদন করার ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। কিন্তু ১৯২ বার পরীক্ষা দিয়ে প্রথম ব্যক্তি ফেল খাওয়ার পর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে ভাবা শুরু করেছেন। তারা মনে করছেন পরীক্ষায় একটি নির্দিষ্ট বার পর্যন্ত একজন প্রার্থীর আবেদন করার অধিকার থাকা উচিত। ওদিকে এ বছরের শুরুর দিকে বৃটিশ মিডিয়ায় একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, এক ব্যক্তি ১৫৮ বার পরীক্ষা দেয়ার পর ড্রাইভিং পাস করেছেন।